রাস্তা যেন চাষের জমি ! আন্দোলনে বাম যুবরা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কোয়ারা গ্ৰামে

21st June 2020 3:00 pm বর্ধমান
রাস্তা যেন চাষের জমি ! আন্দোলনে বাম যুবরা  পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কোয়ারা গ্ৰামে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কাটোয়া ) : কাটোয়া ২নং ব্লকের অন্তর্ভুক্ত পলসোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোয়ারা গ্রামের ২ নং সংসদে  ডাঙ্গাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বটতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার মূল রাস্তার বেহাল । তার বিরুদ্ধে সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI কাটোয়া ২ আঞ্চলিক কমিটির অন্তর্গত পলসোনা ইউনিটের উদ্যোগে স্থানীয় যুবক ও সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ দেখালন । প্রথমে গ্রামের মূল রাস্তা আধ ঘন্টা অবরোধ করা হয় । এরপর রাস্তায় ইউরিয়া সার ফেলে ও ধানবীজ রোপন করে প্রতিবাদ করা হয় ।  গ্রামের  বেহালা রাস্তার উপর দিয়ে মিছিল ও করা হয়। পলসোনা ইউনিট সম্পাদক সহ সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ ৮ - ৯ বছর এক ঝুড়ি মাটিও রাস্তায় পড়েনি। বৃষ্টি হলে রাস্তার ও ড্রেনের জল ঘরে ঢুকে যায়।পঞ্চায়েত অফিসে ,ব্লক অফিসে লিখিত আবেদন নিবেদন করে কোন কাজ হয়নি। সাধারণ গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ এই রাস্তার টাকা  শাসক দলের নেতারা আত্মসাৎ করেছে। হঠাৎ  কেউ অসুস্থ হলে সবাই মিলে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। প্রায়শঃই স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা কাদায় পড়ে যায়। এখানে অবস্থিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাশের গ্রামে থেকে টীকা নিতে আসে এবং বাচ্চা ছেলে নিয়ে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়ে।  আন্দোলনকারীরা বলেন তাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বাধ্য হয়ে তারা যুব নেতৃত্বে কে সাথে নিয়ে  আন্দোলনে নেমেছে।সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI নেতৃত্ব  অমিত কুমার মন্ডল, বাবর আলী সেখ ও অমিত মুখার্জী প্রশাসন কে হুশিয়ার দিয়ে বলেছেন ভরপুর বর্ষা শুরু হওয়ার আগে প্রাথমিক ভাবে এই রাস্তা মেরামত না হলে আগামীদিনে  গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।